ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে চলছে একটি চক্র। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের লোন করে দেয়া হবে এমন অফার দেয় ওই চক্রটি। এমন অফার দিয়ে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে প্রতারণা করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এ অভিযোগে ১৮ জুলাই নীলফামারী থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে, পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সার্কেলের তত্ত্বাবধায়নে মামলাটির ব্যাপকভাবে তদন্ত শুরু হয়। ঘটনার তদন্তে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও অপরাধ গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাই করে অপরাধের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে শনাক্ত করা হয়।
তার ভিত্তিতে পুলিশ সুপার এ.এফ.এম.তারিক হোসেন খান সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ নীলফামারী সার্কেলের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক দল ১৯ জুলাই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা করা হয় চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের ইটাপীর, কামারপাড়া, বাবরীঝাড় ও চড়াইখোলা ইউনিয়নে।
এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহূত সিম, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বিকাশ হিসাব পরিচালনায় ব্যবহূত ফোন ও নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ইটাপীর ডাংগা পাড়ার মো. রাকিবুল ইসলাম, কেশুরবাড়ী কামারপাড়া চাপড়ার মমিন উদ্দিন, বাবড়ীঝাড় ফকির পাড়ার মো. ফরিদ ও ইটাপীর নীলফামারীর মো. মশিয়ার রহমান।
জানা যায়, অপরাধী চক্রটি ভুয়া রেজিস্টেশন সম্পন্ন সিম, বিকাশ রেজিস্টেশন সম্পন্ন সিম সংগ্রহ করে বিকাশসহ অন্য এমএফএস অ্যাকাউন্ট অবৈধভাবে পরিচালনা করে। তারা সাইবার স্পেসে (ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ) নিজেদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা দাবি করে। এভাবে ঋণ প্রদানের বিজ্ঞাপন বুস্ট করে সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে প্রবাসীদের আকর্ষিত করে থাকে।
এরপর প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ এবং অন্য এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা হাতিয়ে নেয়। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ফেসবুক বুস্ট, অবৈধ সিম বিক্রেতাসহ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিস্তৃত তদন্ত করে প্রতারণার বিভিন্ন ধাপের সাথে জড়িত অন্যদের সনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
টিএইচ