ঢাকা সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী নিয়ামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল থেকেই কলেজ চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে।
২৫ ও ২৬তম ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা ‘স্বঘোষিত অধ্যক্ষের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন’ এবং প্রশাসনিক সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও দাবি, আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিয়ামুল হক কর্তৃত্ববাদী মনোভাবে কলেজ পরিচালনা করছেন। তার ঘনিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী প্রশাসনিক বিভিন্ন অনিয়মে যুক্ত রয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের ঘটনার কোনো তদন্ত বা দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভ বাড়ছে।
তারা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও ফি প্রদানসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাইহান হোসেন বলেন, "আমরা ক্লাস করতে চাই, পরীক্ষা দিতে চাই। কিন্তু একজন স্বঘোষিত অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কলেজের পরিবেশ প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে। সহপাঠীদের আহত করার পরও তদন্ত হয়নি। তাই আমরা তার পদত্যাগ ছাড়া কিছুই মানব না।"
২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনিম আক্তার বলেন, "প্রশাসনের বিরুদ্ধে আগের ব্যাচগুলোরও অভিযোগ ছিল, কিন্তু সেগুলো সবসময় চাপা দেওয়া হয়েছে। এবার আর তা হতে দেওয়া হবে না। আমরা নোটিশ মানব না, কারণ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করছে না।"
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে গেলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ গেট বন্ধ করে তাদের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করেছে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারের লঙ্ঘন।
কলেজ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর না মিললেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় আহত হন মেহেদী হাসান তানিম ও অপু নামের দুই শিক্ষার্থী। এর পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রশাসন একাধিকবার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করলেও কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো দেয়নি।
টিএইচ
