ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাসুমা (৩৮) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি মাইলস্টোন স্কুলে আয়ার কাজ করতেন। তাকে নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুমা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, মাসুমার শ্বাসনালিসহ শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিক্যাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ডা. শাওন বলেন, এ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ১৭ জনের মৃত্যু হলো। এখন ভর্তি আছে ৩৮ জন। তাদের মধ্যে তিনজন এখনো আইসিইউতে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছে।
এর আগে আজ (শনিবার) সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জারিফ (১৩)। ৪০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে টানা ৪দিন যন্ত্রণা সহ্য করে চলে গেল সে। এর আগে গত শুক্রবার (২৫) সকাল সাড়ে ৯টায় এবং দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইমান (১০) ও মাকিন (১৩) নামে দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। আইমানের শরীরের ৪৫ শতাংশ আর মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
টিএইচ