প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে পর্যাপ্ত গবাদিপশু মজুদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে কড়া নজরদারিতে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যাতে চোরাইপথে কোনো বিদেশি গরু দেশে প্রবেশ করতে না পারে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে স্থাপিত কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, দেশের প্রতিটি পশুর হাটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।
গরু মোটাতাজাকরণের ক্ষতিকর প্রক্রিয়া থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। রাজধানীর হাটগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে সকালে খামারবাড়ির কেআইবি মিলনায়তনে “ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কর্তৃক চিকিৎসা প্রদান এবং মনিটরিং বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, “কোরবানি বলতে আমরা শুধু গরু বা ছাগল জবাই বুঝি না; এর গভীরে রয়েছে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহান শিক্ষা। কোরবানির ঈদে সেই ত্যাগের মহিমা যেন আমরা ভুলে না যাই।”
উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান, পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ. বি. এম. খালেদুজ্জামান, পরিচালক (কৃত্রিম প্রজনন) মো. শাহজামান খানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি চিকিৎসক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্ন ডাক্তার এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
টিএইচ