মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

মুষলধারে বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে হাটু পানি!

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি

মুষলধারে বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে হাটু পানি!

মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকার উপকন্ঠ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার রাস্তাঘাটসহ ঘরবাড়ি, অলিগলিতে জমেছে হাটু পানি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সকালের অফিসগামীরা ছিলেন বেশামাল।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টিতে ময়লার পানি সড়কে ডেউ খেলছে। বর্ষার শেষে মুষলধারে এই বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের এই অঞ্চলে জমেছে হাটু সমান পানি, কোথাও কোথাও কোমড় সমান।

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকা হওয়ায় এখানে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে বেশির ভাগই পোশাক শ্রমিক। সুতরাং কর্মস্থলে যাওয়া-আসার সময় সড়কে জলবদ্ধাতায় যে দুভোর্গ তৈরী হয় তাতে নারী-পুরুষ সকলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

অন্যদিকে শুকনো মৌসুমে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের আশুলিয়ায় শিমুলতলা, ইউনিক, জামগড়া এলাকায় জলবদ্ধা নিরসন না হওয়ায় হতাশ ছিলো এলাকাবাসী। ফলে ভারি বৃষ্টিতে সড়কে জমেছে কোমর পানি। পায়ে হেটে চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য সড়কের এই এলাকাটি। তাই দুর্ভোগ নিয়ে অফিস করছেন এলাকার পোশাক শ্রমিকসহ নানা শ্রেণীর পেশার কর্মজীবিরা।

একদিকে সারাদেশে চলছে ডেঙ্গুর প্রভাব, তারপরে যদি ড্রেনের ময়লা ও ক্যামিকেল যুক্ত পানি দিয়ে রাস্তার এই অবস্থা হয়, তাহলে পানি বাহিত রোগের আশঙ্কাও কিন্তু কম নয়। তাই এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন পোশাক শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সড়কটি সড়ক ও জনপথের আওতাধীন নয়। এই সড়কটি এখন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতাধীন। ফলে এই সড়কটির দায়-দায়িত্ব এখন এই প্রকল্পের। যদিও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রক্ল্প দায়িত্ব নেওয়ার আগেও সড়কের এই সমস্যা পুরানো।

এ বিষয়ে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, মূল ড্রেনের কাজ শুরু হবে দু-এক মাসের মধ্যেই, তখন আর এই সমস্যা থাকবে না। রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। পানি যাওয়ার কোথাও রাস্তা নাই। আমরা পাম্পও লাগিয়েছি, চেষ্টা চলছে। সামনের বছর আর এই কষ্ট থাকবে না।

টিএইচ