মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: এক যুগেও মেলেনি বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: এক যুগেও মেলেনি বিচার

আজ ২৪ এপ্রিল, রানা প্লাজা ধসের ১২ বছর। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৯ তলা ভবনটি ধসে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। আহত হয়েছিলেন প্রায় দুই হাজার, যাদের মধ্যে ৭৮ জন চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান।

এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি বিচার। ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালে, তবে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৯৪ জন, যদিও সাক্ষীর তালিকায় আছেন ৫৯৪ জন।

দুর্ঘটনার আগের দিন ভবনে ফাটল দেখা দেয়, তা জেনেও পরদিন শ্রমিকদের কাজে যেতে বাধ্য করা হয়। এই অবহেলা হয়ে দাঁড়ায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনার মূলে।
ধসের পাঁচ দিন পর, ২৯ এপ্রিল, ভারতে পালানোর পথে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার হন ভবন মালিক সোহেল রানা।

রানা প্লাজা ধসে চারটি মামলা দায়ের হয়—একটি হত্যা মামলা, একটিতে ইমারত নির্মাণ আইনের লঙ্ঘন, এবং দু’টি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে শুধু সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি তিনটি মামলার বিচার এখনও চলছে।

সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল নির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণ সাক্ষী অনুপস্থিতির কারণে পেছায়। পরবর্তী তারিখ ধার্য হয়েছে ১৯ মে। আদালত ওই দিন ১৭ জন সাক্ষীকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।

হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪১ জনের মধ্যে মাত্র একজন—সোহেল রানা কারাগারে, বাকিরা জামিনে। আসামিদের মধ্যে রানার বাবা আব্দুল খালেকসহ তিনজন মারা গেছেন।

রানা প্লাজা ধস আজ বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনার হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে। এই দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান সাভারে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। তারা দ্রুত বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের দাবি জানায়।

টিএইচ