বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

সরকারি চাকরিতে বাধ্যতামূলক হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে বাধ্যতামূলক হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র: ইসি

সরকারি যেকোনো পদে চাকরির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রকে (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে এনআইডি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোর মধ্যেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছে ইসি।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এসএম হুমায়ুন কবীর।

তিনি বলেন, আমরা যাদের এনআইডি সংশোধন করে থাকি, এদের মধ্যে বিরাট একটি অংশ সরকারি চাকরিজীবী। আগে তারা ভাউচারের মাধ্যমে বেতন পেতেন। কিন্তু এখন আইবাসের মাধ্যমে এনআইডির ভিত্তিতে বেতন হয়। এটা তাদের রুটি-রুজি, বেতন-ভাতা, সন্তানাদিদের ভরণ-পোষণ ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। আইবাসে বেতন হওয়ার জন্য এনআইডি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো কোনো অফিস এনআইডি ঠিক না হলে বেতন চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে বলেছে। তখন তারা আইবাসে যায়, আইবাস থেকে তাদের জানায়, তাদের কিছু করার নেই। তখন তারা আমাদের কাছে আসেন। আমাদের অফিস আসলেও অনেক সময় সরাসরি সংশোধন করা যায় না। অনেক সময় নিষ্কৃতিও দেওয়া যায় না।

হুমায়ুন কবীর বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে যারা এনআইডিকে গুরুত্ব দেয়নি, আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থাকে গতকাল ডেকেছিলাম। যেহেতু বাধ্যতামূলকভাবে জনপ্রশাসন থেকে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিষয়টি আসেনি, তাই হয়তো ইগনোর করা হয়েছে। আইনি কাঠামোর মধ্যে এলে এটা আর থাকবে না। যদিও এনআইডি আইনে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক আছে, আইবাসেরও আছে। তাই সব সংস্থা যেন ভবিষ্যতে এনআইডি অনুসরণ করে, সেটা আমরা চেয়েছি। তারা বলেছেন, যাদের বেতন-ভাতা আটকে গেছে, যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তারা বলেছেন।

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, যাদেরটা সহজে দেওয়া যায়, সেগুলো আমরা সংশোধন করে দিই। যেগুলো করা যায় না, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি।

নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের আইনের কাঠামোর মধ্যে এনআইডি বাধ্যতামূলক করা হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অলরেডি এটা একটা আইনি কাঠামোর মধ্যে আছে। জনপ্রশাসনের ক্ষেত্রে এসএসসির সনদ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এনআইডির বিষয়ে জনপ্রশাসনের আইন যেটা সবাই ফলো করে, সেটার মধ্যে পরিবর্তন আনতে আমরা উদ্যোগটা গ্রহণ করব। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, যেসব অফিস বা প্রতিষ্ঠান— ধরুন স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ—তাদের তো মিনিস্ট্রি থেকে এনআইডি আমলে নেওয়ার জন্য জানাতে হবে। তারা জানাবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল (সোমবার) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ ২৭টি মন্ত্রণালয়-সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। বৈঠকে এনআইডি বাধ্যতামূলক কেন করা দরকার, তার পক্ষে আটটি যুক্তি তুলে ধরে ইসি।

টিএইচ