টাঙ্গাইলের এক যুবতীকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র, হালিম খানের ছেলে সজিব খান এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া। গ্রেপ্তাররা পেশায় সিএনজি চালক।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে ওই যুবতী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর থেকে রাজধানী ঢাকা এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে আসেন। সেখান থেকে তিনি চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ভুলবশত উত্তরবঙ্গগামী দ্রুতযান ট্রেনে উঠে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে অন্য যাত্রীদের কাছে জানতে পারেন তিনি টাঙ্গাইলে এসে পড়েছেন।
পরে ওই যুবতী রাতে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নামেন। এসময় তিনি স্টেশনে নেমে জিআরপি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশের এক সদস্য সিএনজি চালক দুলালকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন।
এসময় ওই যুবতীকে ফুসলিয়ে প্রথমে স্টেশনের পিছনে কাঠবাগানে নিয়ে দুলাল ধর্ষণ করে। পরে স্টেশন সংলগ্ন ব্রাহ্মণকুশিয়ার অভিযুক্ত রুপু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে রুপু মিয়া ও সজিব খান তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর ওই যুবতী শনিবার (২৬ জুলাই) ভোরে রেলস্টেশনে গিয়ে রেল পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে তারা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
টিএইচ