চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দুটি ইউনিয়নে বর্ষা না আসতেই মেঘনা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। মতলব উত্তরের ফরাজিকান্দির সোনারপাড়া ও জহিরাবাদের সানকিভাঙা এলাকার প্রতিরক্ষা নদীর তীরের প্রায় দুই কিলোমিটার স্থান জুড়ে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে এসব এলাকা রক্ষায় স্থাপনকৃত সিসি ব্লক ও বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নদীতে বিলীন হয়েছে। এর ফলে ভয়াবহ হুমকিতে রয়েছে লঞ্চঘাট, বাজার, বেশ কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসা, মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ দুটি ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের বসতঘর।
স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ধস দেখা দেয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। ২০১৭ সালে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ অঞ্চলে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করে। তখন নদী তীরে মাটি ভর্তি জিও ব্যাগ ও ব্লক স্থাপন করা হয়।
ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলের স্থায়ী নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ কাজের ৩শ মিটার প্রমত্তা মেঘনা গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা ও দেখা যায় সোনারপাড়া ও সানকিভাঙা এলাকার নদী তীর রক্ষা বাঁধের ব্লক ক্রমান্বয়ে দেবে যাচ্ছে ও নদী তীরে যে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছিল নিচের মাটি সরে গিয়ে ক্রমান্বয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। বিশাল এলাকায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
জহিরাবাদ ইউনিয়নের প্রায় দেড় কিলোমিটার ও ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ৮শ মিটার এখন নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে বলে জানান মেঘনা ধনাগোদা পানি উন্নয়ন বিভাগের সাব অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন। জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া জানান- এই এলাকার ভাঙন রোধে যে স্থায়ী প্রকল্প কাজ শুরু করেছিল তখন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দ্বন্দ্বের বলি হয়ে প্রকল্পটি তার কাজ শেষ না করে স্থগিত করেত হয়।
যে কারণে এখন আমরা নদী ভাঙনের শিকার। ফরাজিকান্দির ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন এলাকা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন। মেঘনা ধনাগোদা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম শাহেদ বলেন- পাউবো ইতোমধ্যে ভাঙন এলাকা স্টাডি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলমান রয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে।
টিএইচ