নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) উপজেলার চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাকের আহমেদ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক দিন আগে তিনি চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের নতুন ঘোষিত কমিটির সমালোচনা করে ফেসবুক একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে কমেন্টস করে কলেজ ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি হূদয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হূদয়ের নেতৃত্বে কলেজ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করে। একই দিন প্রতিপক্ষ ছাত্রদল নেতা প্রান্ত, রাফি ও তমাল কলেজ প্রাঙ্গণে পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এতে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইয়াসিন হূদয় অভিযোগ নাকচ করে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমার নেতৃত্বে কলেজ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করা হয়। ওই কর্মসূচিতে বহিরাগত সবুজের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে আমিসহ ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বহিরাগত একদল যুবক ছাত্রদলের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস বলেন, বহিরাগত কয়েকজন যুবক কলেজে ছাত্রদল নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায় বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, একটা ছেলে অযোগ্য লোক নিয়ে নতুন কলেজ ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। ওই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কতজন আহত হয়েছে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
টিএইচ