ফরিদপুরের মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল।
গত শনিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তারা মধুখালী উপজেলার কামারখালি ও সালামতপুর এবং আলফাডাঙ্গার বাঁশতলা, দিগনগর খেয়াঘাটসহ বিভিন্নস্থানে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব একেএম ফজলুল হকের নেতৃত্বে এসময় অন্যদের সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, অতিরিক্ত সচিব ছায়েদুজ্জামান, যুগ্ম সচিব ড. অঞ্জন কুমার দেব রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা, মধুখালী ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরী, আলফাডাঙ্গা ইউএনও রফিকুল হকসহ সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পরিকল্পনা কমিশনের সচিব একেএম ফজলুল হক বলেন, মধুমতির ভাঙনের বাস্তব অবস্থা খুবই ভয়াবহ। বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের তীব্রতা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি একটি প্রকল্প জমা দিয়েছেন।
সেখানে তিনি বলেছেন, এলাকার মানুষের বাড়িঘর, ফসলি জমি, স্কুল-কলেজ এমনকি সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা সেটি দেখতেই সরেজমিনে এসেছি। এসময় ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সালামতপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন। এসময় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের বোন হাজেরা বেগমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা এসময় ভাঙনের ঝুঁকি থেকে বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের জাদুঘর ও তার গ্রাম রক্ষার জোর দাবি জানান। এছাড়া দুপুরে আলফাডাঙ্গার পাচুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় ভাঙনকবলিতদের কথা শোনেন প্রতিনিধিদল। সাধারণ গ্রামবাসী এসময় ফিরতি বছর মধুমতির ভাঙনে তাদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন।
টিএইচ