কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় যৌথবাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি অত্যাধুনিক রিভলভার, ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি হাত কুড়াল, ১টি বল্লম সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রুবেলের বামনপাড়াস্থ বাসভবনের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাটি উদ্দ্যেশ প্রণোদিত এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে ব্রিফিং দিয়েছেন, ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জানবার হোসেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষ গ্রুপই রাতের অন্ধকারে ওই অস্ত্র পরিত্যক্ত ঘরে রেখে, প্রশাসনকে সংবাদ দিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর কুষ্টিয়া ইউনিট এবং ভেড়ামারা থানা পুলিশ ভেড়ামারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রুবেলের বামনপাড়াস্থ বাসভবনে অভিযান চালায়।
এদিকে এ ঘটনাটি বিএনপি দলীয় প্রতিপক্ষের সাজানো ঘটনা দাবি করে চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জানবার হোসেন জানিয়েছেন, আমিসহ আমার পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। আমি ১৩ বছর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম।
৩০ বছর ধরে আমার পরিবার চেয়ারম্যান এবং এলাকার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। উপজেলা আ.লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ এবং কৃষি বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে হামলা, মামলার স্বীকার হয়েছি। আজ আবার তারাই আমার ভাতিজা মনিরুজ্জামান রুবেলকে ফাঁসাতে রাতের অন্ধকারে জানালা দিয়ে পরিত্যক্ত একটি রুমে দেশি অস্ত্র ফেলে রেখে যায়। তারাই যৌথবাহিনী দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
এদিকে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক সুরুজ নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা যৌথ বাহিনীর নিয়মিত অভিযান। এ অভিযানের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পৃক্ততার প্রশ্নই উঠে না। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক হিসাবে জানবার চেয়ারম্যান আমাকে ফাঁসানোর মিথ্যা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহীদুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভেড়ামারা থানা পুলিশও অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশি অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ