বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Post

মহেশখালীতে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ নিয়ে ঝুঁকিতে ৮০ হাজার বাসিন্দা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মহেশখালীতে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ নিয়ে ঝুঁকিতে ৮০ হাজার বাসিন্দা

বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর প্রায় ৮০ হাজার বাসিন্দা। বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের প্রকোপে যেকোন সময় বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশে ধূলিসাৎ হতে পারে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর স্বপ্ন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপকূলীয় সাগর আর নদী ঘেরা মহেশখালী মাতারবাড়ীর পশ্চিমে বিধ্বস্ত ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কিত বসবাসকারীরা। তাদের দিনাতিপাত যেন সাগরের সাথে যুদ্ধ করে। নিশিরাতও নির্ঘুমে কাটা হয় সেখানকার বসবাসকারীদের। সমুদ্রের জোয়ারের পানি কখন তলিয়ে নিয়ে যায় এমন শঙ্কায় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকাসহ সর্বসাধারণ।

তারা অনুদানের আর্তনাদ বা করুণা চাচ্ছেনা, তাদের একমাত্র প্রত্যেশা দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। এমনকি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মাতারবাড়ী-ধলঘাটার মাতারবাড়ীতে নির্মিত হয়েছে সরকারের মেগা প্রকল্প কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রস্তাবিত হয়েছে গভীর সমুদ্র বন্দর।

এতদাঞ্চলের শান্তিপ্রিয় জনতা বিনাদ্বিধায় দেশের উন্নয়নের ম্বার্থে আবাধি ফলসি জায়গা-জমি তথা মাথাগোঁজা ঠাই বসতভিটার জায়গা দিয়ে নিঃস্ব হয়েও শান্তি পাবে পশ্চিমের বেড়িবাঁধটি পেলে। এদিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ এর লবণাক্ত পানি থেকে মাতারবাড়ীর ৮০ হাজার জনগোষ্ঠীকে রক্ষার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রাণের দাবি তোলেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য উন্নয়নের সোয়া লাগুক! তবে দ্বীপের প্রাণপ্রাচুর্য রক্ষা নিশ্চিত করে। তাই টেকসই বেড়িবাঁধ সম্মেলিত প্রাণের দাবি মাতারবাড়ী-ধলঘাটাসহ পুরো মহেশখালীবাসী। মাতারবাড়ী ৭নং এর জনপ্রতিনিধি সরওয়ার কামালসহ সচেতনমহলের দাবি দ্রুত বেড়িবাঁধটি সংস্কার না করলে এখানকার বসবাসকারীদের জানমাল রক্ষা করা অসম্ভব। তারা আরও জানিয়েছেন বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে বিগত সরকারের সচিবও আসছিলো।

তবে আশার বাণী শুনিয়ে ওইস্থান ত্যাগ করার পর কোন খবর থাকে না। সম্প্রতি তারা মাতারবাড়ী রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। তা যথাযত বিবেচনা রেখে দ্রুত প্রাণের দাবিটি আমলে নিয়ে বসবাসের উপযোগী করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যেশা করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের কর্মকর্তা রিফাত ইবনে রশিদ জানান, জনবসতি রক্ষার্থে শিগগিরই বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।

টিএইচ