টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামীকে অপরহণ করে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে অভিযুক্ত নারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওই নারী অপহরণের শিকার ভুক্তভোগীর স্ত্রী। শনিবার (২ আগস্ট) তাদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মির্জাপুর উপজেলার হাসান মোল্লা, ইমরান হোসেন, জহিরুল ইসলাম, রানা, আরিফ ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার তালচানা গ্রামের আলকেস এর কন্যা আকলিমা বেগম।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে অপহরণের শিকার আব্দুর রহিম ও গ্রেপ্তার আকলিমা আক্তার ধামরাই উপজেলার বাথুলী এলাকায় একটি ইটভাটায় দুজন কাজ করতেন। পরে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন।
ইটভাটা বন্ধ থাকায় রহিম নিজের বাড়িতে চলে যায়। গ্রামের বাড়িতে তার আরেক স্ত্রী রয়েছে। প্রায় ৬ মাস মাস ধরে রহিম আকলিমার সাথে যোগাযোগ না করায় তাকে লোকজন দিয়ে কৌশলে অর্থ আদায়ের ফন্দি আটেন। ফোনে রহিমকে মির্জাপুরে আসতে বলেন আকলিমা। রহিম মির্জাপুরে আকলিমার ভাড়া বাসায় আসার পরপরই কয়েকজন যুবক রহিমকে মারধর করেন এবং একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করেন। এরপর তার স্বজনদের কাছে ফোন করে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
জিম্মি রহিমের স্বজনরা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং রহিমকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় চাঁদা দাবি চক্রের নেতৃত্ব দেয়া রাকিব হোসেন রানা আরেক যুবক। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই আব্দুর রহিম মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মির্জাপুর থানা ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তাররা এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটির নেতৃত্ব দিতো। কিন্তু অন্তরালে তারা বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে কাজ যাচ্ছিল বলে অভিযোগ পাচ্ছি। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ
