মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

সাদুল্লাপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না পণ্য 

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

সাদুল্লাপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না পণ্য 

আবারও অস্থির কাঁচাবাজার, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সকল পণ্যের দাম। এতে করে দুর্ভোগে পড়ছে স্বল্প, নিম্ন আয়ের মানুষ। সংসারের চাহিদা মত তরিতরকারি, মসলা জাতীয় খাবারসগ নিত্যপণ্য কিনতে পাচ্ছে না তারা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও মূল্য তালিকা না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। 

সরকার আলু, চিনি, ডিমের মূল্য নির্ধারিত করে দিলেও সেই মূল্যে মিলছে না পণ্য। এনিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের, আর পাইকাররা দোষছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। ক্যাশ ম্যামো ছাড়াই পাইকারা বিক্রি করছে পণ্য। আর যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ ভোক্তারা।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের সবজী অধিষ্ঠিত ধাপেরহাটে সরজমিনে গিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য পাওয়া যায়নি আলু, চিনি, ডিম। খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আলু ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০  টাকা, পটল  ৪০ টাকা, বেগুন  ৪০ টাকা কচু ৭০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা ঢেঁড়শ ৮০ টাকা,মাছ আলু ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা মিষ্টি কুমড়া কেজি। ডিম প্রতি হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ব্রয়লার মুরগী কেজি ১৬০ টাকা গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা বোতলজাত সোয়াবিন ১৭০ টাকা চিনি ১২৯ টাকা, মশুরের ডাল ১০০ টাকা দর বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল  রয়েছে আঠা ময়দা। 

বেশীরভাগ দোকানে নেই কোন মূল্য তালিকা। মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীরা লোক বুঝে মূল্য হাকিয়ে বিক্রি করছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এ নিয়ে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে ক্রেতা বিক্রেতা।

 ভোক্তারা জানান, বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। সেই তুলনায় আয় না বাড়ায় সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। গরু ও ছাগলের মাংসের কথা চিন্তাই করা যায় না। মাছের বাজারে, গরীব মানুষের ইলিশ খ্যাত সিলভার মাছের কেজি ২৮০ থেকে ৩০০, পাঙ্গাস ২৫০ টাকা বেড়েছে সকল মাছের দাম।

সরকার কয়েকটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও  সেই মূল্যে মিলছে পণ্য। সব মিলিয়ে সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস।

টিএইচ