শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Post

হাজারো মানুষের পদরচারণায় মুখরিত কসবার পদ্মবিল

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 

হাজারো মানুষের পদরচারণায় মুখরিত কসবার পদ্মবিল

হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার গোসইস্থল পদ্মবিল। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গা ঘেষা কসবা উপজেলার সিনাই নদীর তীরে অবস্থিত পদ্মবিল। কর্মব্যস্ত একঘেয়েমি যান্ত্রিক জীবনে জ্বালা জুড়াতে একবার হলেও ঘুরে আসতে পারেন আবহ বাংলার অপরূপ প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি পদ্মবিল। 

ভাসমান পদ্মের রূপ সভা দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা ছুটে আসছেন এখানে। চোখ জুড়ানো অ্যাপ সৌন্দর্য শুধু প্রকৃতিপ্রেমীদেরই নয়, পরিবেশ সচেতন মানুষদের ও বিমোহিত করছে।

উপজেলা শহর থেকে বাড়াই গোপীনাথপুর চণ্ডী দোয়ার হয়ে যেতে হবে গোসাইস্থল পদ্মবিলে। ঘুরে বেড়ানোর জন্য ওখানে অনেক ছোট ও মাঝারি নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে । পর্যটক বেশি হলে ৪০০ টাকা দিতে হতে পারে ভাড়া । মাঝিরাই পুরো পদ্মবিল ঘুরিয়ে দেখায় পর্যটকদের।

সরজমিনে দেখা যায় বিস্তৃত জলরাশির বুকে দল বেঁধে ফুটে আছে চোখ জুড়ানো পদ্ম। যতদূর চোখ যায় সবুজ গাছের সঙ্গে মিশে হাতছানি দিচ্ছে জল রাশির পদ্ম আর পদ্ম। এখানকার মন ভুলানো দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ।

 হোগলাবন ও কচুরিপানার মধ্যে দিয়ে ছোট ডেঙ্গি নৌকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরে বেড়াতে আর পছন্দের ছবি তুলতে পারেন। মেতে উঠতে পারেন সেলফি উৎসবে। পদ্ম পাতার জলে বিলিয়ে দিতে পারেন নিজকে। সঙ্গে সামান্য রোধ আর মেঘ বৃষ্টি খেলা হলে তো কথাই নেই। বিলে ফুটে থাকা অজস্র পদ্ম ছবির মত সাজানো। বিলটি আকারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর হলেও ৪০- ৫০ হেক্টর সীমানায় ফুটে পদ্মফুল। বাকি অংশে রয়েছে হোগলা, কচুরিপানা ও শেওলা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি কলেজের এমবিএর শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ বলেন, বন্ধু ও ছোট ভাইবোনদের নিয়ে পদ্ম বিলে ঘুরতে এসেছি। নগর জীবনের যান্ত্রিক দশা থেকে মুক্তি পেতে প্রকৃতির মাঝে বেড়াতে আসা। বিলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমি খুশি। যে কেউ এখানে পরিবার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

স্থানীয় মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরে তিন মাস বিলে পানি থাকে, তখন পদ্মফুল ফুটে। এই সময়টাতে অনেক পর্যটক ঘুরতে আসে। তখন বিলে নৌকায় করে পর্যটকদের ঘুরিয়ে অর্থ উপার্জন করি। বছরে বাকি সময়ে অন্য কাজের প্রতি ঝুঁকতে হয়।

বিলের সৌন্দর্য দেখে আরো বেশ কয়েকজন ভ্রমণপ্রেমী মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এই এলাকার রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম প্রকৃতিপ্রেমী হিসাবে গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে পর্যটনের সম্ভাবনা দেখা দেবে।

টিএইচ