শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

ইটনায় সাবেক প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি 

ইটনায় সাবেক প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইসমাইল মাস্টারের ওপর পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় তিনি গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইসমাইল মাস্টারের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ইটনা থানায় মামলা করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, ইটনা উপজেলার আবাদ হাটি নূরপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. জামসু, একই এলাকার মো. ইসলাম মিয়া, আকাশ মিয়া, মো. হাছান মিয়া, মো. সিরাজ মিয়া, মোছা. মদিনা, আঞ্জু মিয়া, মো. নুরুল ইসলাম, মো. কামাল মিয়া, মো. সোহাগ মিয়া, মো. ফজলু মিয়া, আকু মিয়া, আকাশ মিয়া।

জানা যায় গত রোববার অভিযুক্তরা সাবেক শিক্ষক মো. ইসমাইল মাস্টারকে রাস্তায় একা পেয়ে পথরোধ করে গালিগালাজের একপর্যায়ে অভিযুক্ত মো. ইসলাম মিয়ার হুকুমে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মো. ইসমাইল মাস্টারকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। 

এ ঘটনার খবর পেয়ে ইসমাইল মাস্টারের ছেলেসহ অন্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা তাদেরকেও এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এ সময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. ইসমাইল মাস্টারকে উদ্ধার করে স্পিডবোট ও অটোরিকশাযোগে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে। 

বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. ইসমাইল মাস্টার ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। পরবর্তীতে মো. ইসমাইল মাস্টারের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ইটনা থানায় মামলা করে।

এ ঘটনায় ইটনা থানা পুলিশ মো. জামসুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। গ্রেপ্তার মো. জামসু মিয়াকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে।

টিএইচ