মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Post

কুলাউড়ার স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি  

কুলাউড়ার স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া জান্নাত আনজুম (১৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রতিবেশী মো. জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে ভিকটিমের বোরখা, স্কুলব্যাগ, বই ও একটি জুতা।

সোমবার (১৬ জুন) মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, গত ১২ জুন দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা আনজুম পাশের সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

নিখোঁজের দুদিন পর ১৪ জুন বাড়ির পাশের ছড়ার ধারে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিকটিমের ভাই ও মামা তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পান। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

তদন্তের অংশ হিসেবে ছড়ার পাশের ঝোপে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আনজুমের স্কুলব্যাগ, বই এবং একটি জুতা উদ্ধার করে। পাশাপাশি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গঠন করা হয় ৬টি বিশেষ দল। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রতিবেশী জুনেল মিয়ার মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখার রেকর্ড রয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাতে পুলিশের সামনে হত্যার দায় স্বীকার করে জুনেল।

জবানবন্দিতে জুনেল জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে আনজুমকে লক্ষ্য করছিল এবং তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছিলো। ১২ জুন সকালে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফেরার পথে জুনেল তার পথরোধ করে। আনজুম তা এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে এবং চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে। এতে আনজুম অচেতন হয়ে পড়লে তাকে পাশের ঝোপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে আনজুমের বোরখা, জুতা ও স্কুলব্যাগ ফেলে দেয়। তার দেখানো মতে পুলিশ ক্রিম শাহ মাজারসংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানের পাশ থেকে ভিকটিমের বোরখাও উদ্ধার করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা, পিপিএম; কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার, কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য।

টিএইচ