কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা শহরের অধিকাংশই স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের পৌর ড্রেন ও খালগুলো দখল করে ভরাট হওয়াসহ নানা কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় শহরবাসীকে। ময়লা-আবর্জনা আর পানি উপচে পড়ায় রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) জেলা শহরের ডিসি অফিস চত্বর, ফায়ার স্টেশন, হাটির পাড়, বৈশ্য পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, মিস্ত্রি পাড়া, মধুর মোড়, হরিজন পল্লী, পিটিআই চত্বর, মজিদা কলেজ, থানাপাড়াসহ একাধিক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
শহর থেকে পানি নেমে যাওয়ার মূল বড় ড্রেনটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত পরিষ্কার না করা এবং পৌর এলাকায় অনেক ড্রেন অবৈধ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় এই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে সড়কগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও যানবাহনগুলো। পথচারীরা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একই অবস্থা পয়ঃনিষ্কাশনের। বৃষ্টি আসলেই ড্রেনগুলো উপচে পড়ে পানি ঘরের ভিতর প্রবেশ করে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহীনুর রহমান বলেন, ১৬ বছর ধরে একই অবস্থা। বৃষ্টি আসলেই শহর ভেসে যায়, ফেসবুকে লেখা-লেখিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।
৪নং ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা রকেট বলেন, মঙ্গলবার (২০ মে) রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় ঘরের ভিতর পানি এখনো আছে, চলা-ফেরার খুব অসুবিধা হয়েছে।
৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মমেনা বেগম বলেন, প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই ড্রেনের সব পানি রান্না ঘরে প্রবেশ করে, কি একটা বাজে অবস্থা, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এমন বিরম্ননাই বার বার পড়তে হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-তিনদিন আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। গত ১৬ বছরে কোন ধরনের কাজ হয়নি। আমরা এটি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারবো না। আমরা দ্রুত নতুন করে ড্রেন সংস্কার ও নতুন ব্লক তৈরি করার পরিকল্পনা করছি। আপাতত ড্রেনের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে পানি বেন হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি।
টিএইচ
