র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর বিশেষ অভিযানে চরজব্বর থানায় জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের জন্য অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোনকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ নোয়াখালী। শুক্রবার (১৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী র্যাব-১১ ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, র্যাব-০৬ ও সাতক্ষীরা র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার কুকরাইলের মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি মাকছুদা আক্তার মালা এবং ৩ নম্বর আসামি জাহানারা বেগম।
এর আগে গ্রেপ্তার মামলার ১ নম্বর আসামি মো. হোসেন ভুক্তভোগী হালিমা খাতুনের আপন ভাই, পৈত্রিক বাড়ির সম্পত্তি ক্রয়ের জেরে আসামির কথামতো ভুক্তভোগীর লিখিত স্ট্যাম্পটি ফেরত নেয়ার জন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর টাকাগুলো আত্মসাতের জন্য জোরপূর্বক তার হাত-পা ধরে রেখে মাথার বাম পাশে, চোখ, নাক ও বাম গালের ওপর ইট দিয়ে অনবরত আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করে।
পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভের শিশুসহ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে।
অন্য আসামিদের সাতক্ষীরা জেলার সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
টিএইচ