ঝালকাঠিতে বোরো আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন চলছে ধান কাটার পালা। গেল বছরের চেয়ে এবার ফলন ভালো হওয়ায় লাভের হাতছানি দেখছেন কৃষকরা। আর বাজারে ধানের দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। ফলে হাসি ফুটেছে এ জেলার কৃষকের মুখে।
ঝালকাঠি কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ১৩৮৭০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলায় হাইব্রিড ১০১৩ হেক্টর ও উফশী ৫০০৫ হেক্টর, নলছিটিতে হাইব্রিড ৯৭১ হেক্টর ও উফশী ৬০৭৬ হেক্টর, রাজাপুরে হাইব্রিড ১৪৫ হেক্টর ও উফশী ২৬৫ হেক্টর, কাঠালিয়ায় হাইব্রিড ১৭১ হেক্টর ও উফশী ২২৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আবাদ করেছেন কৃষকরা। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সদর উপজেলায় হাইব্রিড ৫২৭৭.৭ হেক্টর ও উফশী ২০৫২১ হেক্টর, নলছিটিতে হাইব্রিড ৫০৫৮.৯ হেক্টর ও উফশী ২৪৯১২ হেক্টর, রাজাপুরে হাইব্রিড ৭৫৫.৪৫ হেক্টর ও উফশী ১০৮৬.৫ হেক্টর, কাঠালিয়ায় হাইব্রিড ৮৯০.৯১ হেক্টর ও উফশী ৯১৮.৪ হেক্টর জমিতে।
জেলায় হাইব্রিড ও উফশী মিলিয়ে ৭৩ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৭ হাজার ৮১৮ টন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি হেক্টর জমিতে ফলন হয়েছে ৬ টনের বেশি। এবার মৌসুমের শুরুতে বোরো ধানের দাম ৯০০ টাকা মণ দরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
ঝালকাঠি কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, এবছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি বাম্পার ফলন হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলার স্থানীয় বাজারে বিক্রি হবে ঝালকাঠির বোরো জাতের চাল।
টিএইচ