শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Post

ঝালকাঠিতে ২শ পরিবার পানিবন্দি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে ২শ পরিবার পানিবন্দি

ঝালকাঠি পৌরসভাটি কাগজে প্রথম শ্রেণির তালিকায় থাকলেও বাস্তবে তৃতীয় শ্রেণির মতই। পৌর কর দেয়া বাসিন্দারা বৃষ্টির জলে খাচ্ছে হাবুডুবু। সপ্তাহজুড়ে টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠিতে পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ২০০ পরিবার।

এখানকার ঘরবাড়ি মাসব্যাপী পানিতে তলিয়ে আছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের এমন ভোগান্তি  দশ বছর ধরে পোহাতে হচ্ছে।

সেলিম তালুকদার, আলম হাওলাদার, মিল্টন তালুকদার, সাইদুল ইসলাম, অ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের বাড়ির বাসিন্দারা দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন। পানিবন্দি বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি ডুবে যায়। বিশেষ করে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা পরিষদ ভবনের আশপাশ এলাকার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যাচ্ছেনা।

রান্নাঘরেও পানি উঠে গেছে। প্রাইভেট টিচার পানি পেরিয়ে ঘরে আসতে চায়না। পৌরসভাকে বারবার বলেও কোনো কাজ হয়নি। এমনটাই জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদা বেগম, সেলিম তালুকদার, সাইদুল ইসলামসহ অনেকে।

এলাকাবাসীর দাবি, পৌর কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেন তৈরি বা পাইপ দিয়ে নদীতে পানি নামিয়ে দিতো অথবা সঠিক পরিকল্পনায় কাজ করতো, তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না। সাবেক মেয়রদের গাফিলতির কারণেই আজ পানিবন্দি থাকতে হচ্ছে।

এদিকে বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি দ্রুত সময়য়ের মধ্যে জলাবদ্ধতার টেকসই সমাধান করে দিতে হবে। অন্যথায় তারা পৌরকর দেয়া বন্ধ করা এবং পৌরসভা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি দিবেন।

তবে অনেকটা আশার বানী শোনালের পৌর প্রশাসক কাওছার হোসেন। তিনি জানান, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে রেকর্ডিও খালগুলো পুনঃখনন করা হচ্ছে। কৃষ্ণকাঠি এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।

টিএইচ