চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মতলবের ধনাগোদা নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি এখন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। ধনাগোদা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
একসময় বিষ্ণুপুর থেকে মতলব দক্ষিণের আড়ংবাজারসহ নানা স্থানে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতো অসংখ্য মানুষ ও বিভিন্ন পরিবহন। এখন নদীর গভীরতা ও স্রোত আর ঢেউয়ের মাঝে সংযোগ রাস্তা ভেঙে বিলীন হওয়ায় অথৈ পানির ওপর রাস্তাবিহীন বেইলি ব্রিজটি দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙনে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি হারিয়ে যেতে থাকে। অনেকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হলেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে এক পর্যায়ে সড়কটি নদীতে বিলীন হয়ে দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কালাচাঁন গাজী বাড়ি এলাকায় ব্রিজটি অবস্থিত।
এখানে নদীর পাড় রাস্তার সাথে সংযোগ বেইলি ব্রিজটি চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুরের কানুদী ও মতলব দক্ষিণের আড়ং বাজার মধ্যকার সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। বিষ্ণুপুরের সালামত উল্লাহ বলেন, এই সড়ক ছিলো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। স্কুল, কলেজ, বাজারসহ সবকিছুর জন্যেই সড়কটি ব্যবহার করতাম। এখন নৌকা বা বহু দূর ঘুরে ভিন্ন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এলাকাবাসী বলছে, ব্রিজ আছে রাস্তা নেই। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙন ঠেকাতে হবে। তা না হলে এখানকার গ্রামের অস্তিত্ব থাকবে না। নদীর পানি কিছুটা সরে গেলে কিংবা বাঁধ নির্মাণ হলে সেখানে নতুন করে ব্রিজের দুপাশে সংযোগ সড়ক তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। অন্যথায় এই ব্রিজটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি তাদের।
এ বিষয়ে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. শরীফ চৌধুরী জানান, সড়কটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমরা একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগকে অবগত করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্তও করেছে। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেলেও আদৌ সড়কটি করা হবে কিনা তারাই ভালো বলতে পারেন।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ভাঙন রোধে ও রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্যে প্রাথমিক জরিপ চলছে। তবে বাজেট ও প্রকল্প অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
টিএইচ