পদ্মা নদীর পাড়ে লাল কাপড় দিয়ে ঘেরা। তার ভেতরে উন্মুক্তভাবে ভাঙা হচ্ছে শত শত পুরাতন ব্যাটারি। বের করা হচ্ছে সিসা। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে অবৈধভাবে ব্যাটারি রিসাইকেলিং কারখানা পরিচালনার অপরাধে দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম পদ্মাপাড়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালানো হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সিনিয়র কেমিস্ট) হাবিবুল বাসার ও পুলিশ।
অর্থ দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার কিংকরপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে আবু সাঈদ (২৩) ও মানিকগঞ্জের বাঠইমুড়ি এলাকার জিন্নাত আলীর ছেলে রবিন মিয়া (২৫)।
তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় প্রায় সাতদিন ধরে পদ্মানদীর পাড়ে অবৈধভাবে এ কারখানা চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, অবৈধভাবে ব্যাটারি রিসাইকেলিং কারখানা পরিচালনা করার অপরাধে দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সিনিয়র কেমিস্ট) হাবিবুল বাসার ফোনে বলেন, ব্যাটারির ভেতরে সালফিউরিক এসিড থাকে। উন্মুক্তভাবে ব্যাটারি ভেঙে সিসা বের করায় বাতাসে সিসা ও লেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা পরিবেশ ও মাটির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
টিএইচ