মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

পাইকগাছার ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ আতঙ্কে এলাকাবাসী

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি 

পাইকগাছার ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ আতঙ্কে এলাকাবাসী

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে পাইকগাছার ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ দ্রুত মেরামতের নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। নির্দেশনা অনুযায়ী বাঁধ মেরামত নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় একদিকে যেমন উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে, তেমনি যেসব এলাকার ওয়াপদার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেসব এলাকার মানুষ অনেকটাই আতঙ্কে রয়েছেন। 

অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের মধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন গড়ইখালী ইউনিয়নের ১০/১২ নং পোল্ডারের খুদখালী এলাকার ওয়াপদার বেড়িবাঁধটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোপূর্বে ফনি, বুলবুল ও আম্ফানসহ প্রায় প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে খুদখালী এলাকার বাঁধ ভেঙে যায়। এজন্য ঘূর্ণিঝড় মোখা যত ঘনিভূত হচ্ছে এলাকার মানুষের মধ্যে ততবেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। 

খুদখালী মফিজুল সানার বাড়ি হতে মিজানুর গাজীর বাড়ি পর্যন্ত কয়েকশ ফুট এলাকা জুড়ে বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। দুর্যোগ আঘাত হানলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি ভেঙে পাইকগাছার গড়ইখালী ও চাঁদখালী এবং কয়রার আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শনকালে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু এ আশঙ্কার কথা জানান। 

ওই এলাকার বাসিন্দা বাবুল শেখ জানান, আমরা প্রতিটা মুহূর্ত উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছি। এদিকে খুদখালী, বাইনতলা ও আলমতলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। 

প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আরাফাত হোসেন জানান, আমরা প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি, মূল কাজ শুরু করতে একটু দেরি হবে, তবে দুর্যোগ আঘাত হানার সম্ভাবনা দেখলে আমরা দ্রুত বস্তা ডাম্পিং করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার জানান, ইতোমধ্যে আমার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ চিহ্নিত করে সেগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হবে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভা করে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্টরা মেরামত কাজ করছেন।

টিএইচ