চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের দেয়া মামলাতেও পরোয়া না করে ৩০০ একর ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট (উপকূলীয় প্যারাবন) দখলে নিয়েছে বেপরোয়া দখলদাররা। ওসব প্যারাবনে ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে চিংড়ি ঘের, চাষযোগ্য করা লবণের মাঠ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে লবণও।
কিছু বন খননযন্ত্র দিয়ে এখনও উজাড় করা হচ্ছে। নাটকীয় অভিযান আর মামলা প্রক্রিয়ায় থেমে আছে উপকূলীয় বন বিভাগ। গ্রেপ্তারের পূর্বেই আগাম জামিন নিয়ে দখলদাররা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
অমাবশ্যাঘোনা ও বেক্সিমকো ঘোনা এলাকায় প্যারাবন দখলের এ ঘটনায় ইতোমধ্যে আদালতে দুটি এবং মহেশখালী থানায় একটি মামলা করেছে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ। আদালতে করা একটি মামলায় হোয়ানক মোহরাকাটার মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন (৪৫), একই এলাকার মো. ইসহাক (৫০) ও ছদর আমিন (৫০) এবং বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সিরডেইল এলাকার মারুফুল হকের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৩০-৪০জন রয়েছে।
একই সাথে অন্য মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কুতুবদিয়ার বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামে পুত্র এরশাদকে। একই মামলায় যথাক্রমে হোয়ানক কালাগাজি পাড়ার ফয়জুল করিমের পুত্র নাজিম উদ্দিন নাজু, একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র আব্দুল মতিন ও হাদেম আলীর পুত্র শাহাদাত কবিরসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জন। কিন্তু মামলার বেশকিছু দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হয়নি কোন আসামি।
এদিকে মহেশখালীর ম্যানগ্রোভ (প্যারাবন) ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মহেশখালীর সিনিয়র সাংবাদিকরা।
এসব বিষয়ে কথা বলতে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের মহেশখালীস্থ রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে মুঠোফোন একাধিকবার টেলিফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও দেয়নি উত্তর।
টিএইচ