বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

ভুরুঙ্গামারীতে পুলিশের উদ্যোগে ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক চালু

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

ভুরুঙ্গামারীতে পুলিশের উদ্যোগে ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক চালু

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে জেলার সকল অংশীজনের সমন্বয়ে পুলিশের উদ্ভাবনী প্রয়াসে ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’ চালু করা হয়েছে। বিনা খরচ ও কম ভিজিটে পুলিশি সেবা মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এ ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’ চালু করা হয়। 

জানা গেছে, গত রোববার উপজেলা হলরুমে ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কচাকাটা থানা এলাকা থেকে আগত প্রায় ২০০ নাগরিক ও সেবা প্রার্থীর বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিকের উপস্থিত ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অফিসাররা।

অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর।

এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিচালক (প্রশাসন) (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শেখ মো. মুজাহিদ উল ইসলাম ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর কবির শিপন। 

এছাড়াও বিশেষজ্ঞ প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মো. গোলাম ফেরদৌস, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মোছা. শারমিন আক্তার, নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজা, ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদুল হাসান, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সবাজসেবা অফিসার মো. শামছুজ্জামান, ভূরুঙ্গামারী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তী রাণী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। 

ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক অনুষ্ঠানে সব শ্রেণিপেশার মানুষের নানাবিধ সমস্যার কথা শুনে উপস্থিত অতিথিরা ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অফিসাররা সম্মানিত সেবা প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে কার্যকরী ব্যবস্থা ও ন্যায্যতার জন্য তাৎক্ষণিক প্রসিকিউশন বা জিডি গ্রহণের উদ্যোগ নেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী অফিসসমূহে সেবা প্রার্থীদের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য রেফার করেন। 

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, জমি-জমা ও সম্পর্ক নিয়ে যেসব ফৌজদারী মামলা রুজু হয় তার অধিকাংশই সিভিল স্যুট বা সামাজিক ইস্যু। কিন্তু অনেকেই মধ্যে মধ্যে ঘুরিয়ে পেচিয়ে এসব ইস্যুকে যেনতেন ভাবে ফৌজদারী মামলায় রূপান্তর করার অভিপ্রায় লক্ষ্য করা যায়। যা কোন পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক হয় না, বরং বেড়ে যায় ব্যয় ও লেগে যায় অনেক সময়। 

এমতাবস্থায় ফৌজদারী মামলা হওয়ার উপক্রম হয়েছে এমন সব বিষয়ে নাগরিকদের সময়, অর্থব্যয়, ভিজিট কমাতে এই উদ্দ্যোগ পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে। সংক্রান্তে উপস্থিত সম্মানিত সেবা প্রার্থীদের সদাশয় সরকারের নানাবিধ উন্নয়নের বহুমাত্রিক কার্যক্রম সম্পর্কেও অভিহিত করা হয়।

টিএইচ