নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষ। চাল, পেঁয়াজ, মাছ, মাংস ও সবজির দাম গত কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও মনিটরিংয়ের অভাব ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম সংকট—এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
ময়মনসিংহ শহরের মেছুয়া বাজারে গৃহবধূ শারমিন আক্তার বলেন, ‘বাজারে গিয়ে দামের কারণে প্রতিদিনই হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছি। মাস শেষ হওয়ার আগেই টান পড়ে যাচ্ছে খরচে।’
দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে সপ্তাহে একদিন হলেও মাছ খেতে পারতাম। এখন এক কেজি মাছ কেনাই কঠিন। সরকার যদি নিয়মিত তদারকি করত, তাহলে এমন হতো না।’
স্থানীয় খুচরা দোকানদার নাজমুল হোসেন বলেন, ‘পাইকারি দামে মাল কিনেই আমরা চাপে পড়ি। তাই অনেক সময় দাম বেশি রাখতে হয়। তবে কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে—প্রশাসনের নজরদারি দরকার।’
মেছুয়া বাজারসহ শহরের অন্যান্য কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে মূল্যতালিকা থাকলেও তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। এতে ভোক্তারা নির্দিষ্ট দামে পণ্য না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ কার্যালয় জানিয়েছে, বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভোক্তারা মনে করছেন, এই তদারকি আরও জোরালো না হলে বাস্তব পরিবর্তন আসবে না।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলছেন, বারবার অভিযানের কথা বলা হলেও বাস্তবে পরিবর্তন চোখে পড়ে না। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
গৃহবধূ শারমিন বলেন, নিম্নবিত্তের জন্য তো বাজারে যাওয়া মানেই দুর্ভোগ। সরকার যদি কঠোর হতো, তাহলে অন্তত কষ্টটা কিছুটা কমত।
টিএইচ