মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাকহাটি এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজন ফেসবুকে দায় স্বীকার করে পোস্ট করেছেন। নিহত সানা মাঝি মধ্য মাকহাটি এলাকার মোহাম্মদ মাঝির পুত্র।
হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মাকহাটি এলাকার তালগাছতলা সড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় মরদেহের বুকের উপর থেকে একটি একনালা শর্টগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া যায়।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার স্বাধীন নামের পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় নিহত সানা মাঝিকে। পরে রাতে সড়কে মরদেহ পরে থাকার খবর পান তারা। কিন্তু আতঙ্কে নিজেরা মরদেহ উদ্ধার না করে খবর দেন পুলিশকে।
তিনি বলেন, ‘আরও ২৭ বছর আগে আমার শ্বশুর মোহাম্মদ মাঝিকে গুলি করে হত্যার মধ্য দিয়ে এই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এর কয়েক বছর পর খুন হন আমার শ্বশুর হত্যা মামলার আসামি বাবু মাঝির ভাই শিপন মাঝি। শিপন হত্যাকাণ্ডেন্ডর সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পৃক্ততা রয়েছে এমনটা সন্দেহ থেকেই তাকে হত্যা করেছে বাবু মাঝি।
এদিকে হত্যার পর এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন বাবু মাঝি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সিপন মাঝির হত্যার বদলা আমি একে একে নিমু।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউল করিম জানান, রাতে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এসময় নিহতের শরীরের পা-মাথাসহ একাধিক স্থানে ক্ষত চিহ্ন ছিলো।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, এলাকায় ডাকাত আটক করা হয়েছে এরকম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে সানা মাঝির মরদেহ ও শর্টগান উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মাকহাটি এলাকার বাবু মাঝির সঙ্গে সানা মাঝির দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। সেই শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। নিহত সানা মাঝির ভাই হাবু মাঝি বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় অগ্যাতনামা ১১জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় এখনো কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলে ওসি জানান।
টিএইচ