শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেহাল দশায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মানুষেরা চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে চিকিৎসা নিতে বাঁধ্য হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৫ টা কক্ষই বন্ধ করতে হয়েছে। বন্ধ হয়েছে সরকারি প্যাথলজিসহ জরুরি বিভাগ। পুরাতন ভবনের প্লাস্টার ও ছাদের প্লাস্টার ঢসে পড়ার ফলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর থেকে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় প্রশাসনিক ভবনে রেখে। আগে যে ৪ টি কেবিন ছিলো তার প্রতিটি কেবিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ টি বেডসহ ভর্তি রাখা রোগীরা রয়েছে মেঝেতেও। রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভর্তি রয়েছে সিঁড়ির রুমেও।
তথ্যমতে উপজেলায় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৮১ জন মানুষে বসবাস। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন শ্যামনগর হাসপাতালে। কিন্তু হাসাপাতালের অবস্থা দেখে অনেকেরই প্রাইভেট হাসাপাতালে ভর্তি হতে হয়।
হাসপাতালের সিঁড়ির ঘরে চিকিৎসা নেয়া একজন ব্যক্তি জানান, ৫ আগস্ট সকালে ভর্তি হন। রুমে জায়গায় না থাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন সিঁড়ির রুমে। অন্য একজন রোগী জানান, গত ৫ দিন ধরে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাক্তার মো. জিয়াউর রহমান বলেন, গত ৩ বছর ধরে হাসপাতালের মূল ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। গত সপ্তাহ খানেক আগে ইঞ্জিনিয়ার মাপজরিপ করে গেছেন যে ভবনে কার্যক্রম চলছে তার উপরে আরও ২তলা ভবন বাড়ানো হবে।
সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা আল-মোমেন বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনের নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। হয়তো ২০২৪ সালে পেতে কাজটি পেতে পারি।
টিএইচ