শ্রীনগরে ৫ মাস বয়সি যমজ ২ কন্যা শিশুকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বিবন্দী এলাকার একটি পুুকুর থেকে লামিয়া ও সামিয়াকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার জন্য শিশু দুটির বাবা-মা একে অপরকে দায়ী করছেন। পুলিশ শিশুদের বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
জানা গেছে, শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী গ্রামের দিনমজুর সোহাগ শেখের (২৮) সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে শান্তার (২৪) বিয়ে হয়। প্রায় ৫ মাস আগে শান্তা যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সন্তান হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত।
শান্তা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকলেও বেশ কয়েকদিন আগে সে স্বামীর বাড়িতে যায়। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে সোহাগের ঘর থেকে হট্টোগোলের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে জানতে পারেন বেশ কিছুক্ষণ আগে লামিয়া ও সামিয়াকে পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়ছে।
এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে লামিয়া ও সামিয়াকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বাবা সোহাগও ছুটে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, লামিয়া ও সামিয়াকে উদ্ধারের পর তাদের মা শান্তা তাদের জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুদের বাবা সোহাগ শেখ তাদের পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। অপরদিকে শিশু দুটির বাবা সোহাগ শেখের দাবি তার স্ত্রী শান্তাই এই কাজ করেছে। সোহাগ শেখের বাকপ্রতিবন্ধী ভাই মামুন ইশারায় প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে অভিযোগের আঙুল তোলেন ভাবি শান্তার দিকে। পুলিশ স্বামী সোহাগ শেখ ও স্ত্রী শান্তাকে আটক করেছে।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সিনথিয়া নুর বলেন, রাত সোয়া ৯টার দিকে হাসপাতালে পানিতে পরা দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদা খান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু দুটির বাবা ও মাকে আটক করা হয়েছে। আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টিএইচ