ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, পানিশ্বর, শাখাইতি ও দেওবাড়িয়া গ্রাম মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। এ গ্রামগুলোর এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ বছরও দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে গত চার দশকে পানিশ্বর গ্রামটির তিন-চতুর্থাংশ বিলীন হয়ে গেছে। বাকিটুকু বিলীনের পথে।
শাখাইতি গ্রামের ইউপি সদস্য ছাদু মিয়া বলেন, গত পাঁচ বছরে নদীভাঙনে শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। প্রায় পাঁচ একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
নদীভাঙনে পানিশ্বর বাজার, পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, শাখাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। গ্রামের বাসিন্দারা সর্বক্ষণ ভীতি আর আতঙ্কে সময় পার করছে। ক্ষতিগ্রস্ত উসমান চৌধুরী জানান, মেঘনা নদী ভাঙনের ফলে আমার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিনে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীতে ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে আছে নদী তীরবর্তী আরও শতাধিক ঘরবাড়ি।
অধিকাংশ মানুষ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, দোকানপাট হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। বেশ কয়েকটি রাইস মিল মালিক নি.স্ব হয়ে গেছেন। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো ও স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
সরাইলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, আমি নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধে জিও ব্যাগ দেয়া হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর হোসেন বলেন, সরাইলে মেঘনা নদীতে ভাঙন রোধে একটি স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ