সাতক্ষীরারর আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন ভ্রমণ এই স্লোগানে মুখরিত গোটা বাংলাদেশ। যদিও প্রচার প্রসারের তুলনায় সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের হার অনেক কম। তবে অতীতের চেয়ে বর্তমানে পর্যটক সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে একথা বলা যায়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ স্বর্গরাজ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সুন্দরবন। কিন্তু এ স্বর্গরাজ্য উপভোগে বাধ সেজেছে পরিবেশ দূষণ।
প্লাস্টিক বর্জ্য, পলিথিনসহ ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ফেলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষণ মো. ইকবাল হোসাইন চৌধুরী।
পর্যটক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে সুন্দরবন ভ্রমণ পিপাসুরা জানান, পর্যটন শিল্পে অগ্রগতি করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের পর্যটকদের পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, কুমির, বানর, সাপসহ বিভিন্ন পশুপাখি দেখার জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকরা সুন্দরবনে ভিড় জমায়।
এ থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ফলে পর্যটকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটক না আসলে দেশ হারাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
পর্যটকরা আরও বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে যেভাবে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারতো বন বিভাগ। পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে বনবিভাগ প্রচার প্রচারণা না চালিয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া ঠিক হয়নি। এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে যেনো না নেয়া হয় সেজন্য পর্যটকরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষণ মো. ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর জানান, পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণ করলে রাজস্ব বাড়বে একথা যেমন ঠিক পরিবেশ বাঁচলে প্রাণীকুল বাঁচবে এ কথাও ঠিক। তাই পরিবেশ বাঁচাতে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতনতার জন্য মৌখিকভাবে একদিন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
একদিন পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। ভ্রমণে ব্যবহূত ট্রলার মালিকগণ ট্রলারে বর্জ্য রাখার স্থান ডাস্টবিন রাখলেও পর্যটকরা যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন দ্রব্য ফেলছে। এক্ষেত্রে ট্রলার মালিকদের তদারকি বাড়ানো এবং পর্যটকদের সচেতনতা বাড়াতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।
টিএইচ