শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

সিঙ্গাইরে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিঙ্গাইরে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সালমা আক্তার হত্যামামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্বামী লাল চান ওরফে রবিনকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গ্রেপ্তার লাল চান উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের করিম গাজী ও পালক পিতা মুন্নাফ পালের ছেলে।

গত রোববার রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব-৪। রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানান র্যাব-৪। সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ র্যাব-৪ পরিচালক মো. আরিফ হোসেন।

সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুন লাল চানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের দক্ষিণ শাহরাইলের নিহত সালমা আক্তারের। বিয়ের পরই লাল চান নেশা ও জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সালমা আক্তার ও তার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকে লাল চান। 

সালমার পরিবার লাল চানের দাবিকৃত যৌতুক না দেয়ায় তাকে প্রায় মারধর করত। এনিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশি বৈঠকও হয়। সবশেষ ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রবিনের পিটুনিতে নিহত হয় সালমা আক্তার। পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় মামলা করেন।

মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে লাল চানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ আসামি লাল চানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি পলাতক থাকায় আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরও জানা যায়, মামলা রুজুর পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি লাল চান ছদ্মনাম রবিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একেক সময় একেক পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রথম স্ত্রী হত্যার পর লাল চান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বর্তমানে তার পরিবারে রানী নামে একটি মেয়ে আছে।

মানিকগঞ্জ (সিপিসি-৩) র্যাব-৪ পরিচালক মো. আরিফ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

টিএইচ