শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Post

নিজেকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা দেয়া ছাত্রী পেলেন ছাত্রদলের বড় পদ

রাবি প্রতিনিধি

নিজেকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা দেয়া ছাত্রী পেলেন ছাত্রদলের বড় পদ

‘আমি একজন ছাত্রী, কেবলই ছাত্রী আমার ছাত্রত্বের পাশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক ট্যাগ যুক্ত করবেন না’ গত বছরের ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি পোস্ট দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা।

ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টে তিনি নিজেকে রাজনৈতিক ট্যাগবিহীন পরিচয়ে পরিচিত করতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক কোন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে অতীতেও যুক্ত ছিলাম না, বর্তমানেও নেই, ভবিষ্যতেও হবো না ইনশাআল্লাহ।’

কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে দৃশ্যপট যেন একেবারে বদলে গেছে। সেই এষা এখন রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গত বছরের ৪ আগস্ট তিনি লেখেন, ‘অবস্থান স্পষ্ট! আমি একজন ছাত্রী! কেবলই ছাত্রী। আমার ছাত্রত্বের পাশে কোনো ধরনের ট্যাগ, যেমন: লীগ, দল, জামাত, শিবির’ ইত্যাদি রাজনৈতিক ট্যাগ যুক্ত করবেন না।

এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে উঠেছে প্রশ্ন, যে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি কীভাবে একটি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হলেন?

ছাত্রদলের একাধিক নেতা এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, যারা মাঠে আন্দোলনে ছিলেন, তারা অনেকেই তালিকায় নেই। অথচ যারা আগে বলতেন তারা রাজনীতি করেন না, তারাই এখন বড় বড় পদে বসে আছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা বলেন, তখন ছিল আন্দোলনের সময় এবং সবার একটাই পরিচয় ছিল সাধারণ ছাত্র। আমার তখন অবস্থান যা ছিল সেটিই উল্লেখ আছে। যখন ছাত্রলীগ তাড়ানো হলো ক্যাম্পাস থেকে তখন সবাই মিলে অরাজনৈতিকভাবেই বাস্তবায়ন করে। আর সে সময় কেও যদি নিজেকে রাজনৈতিকভাবে প্রেজেন্ট করত তাহলে আন্দোলনটা অবশ্যই স্বৈরাচার সরকার অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতো। কারণ তখন সেই আন্দোলনকে বিএনপি- জামায়াতের আন্দোলন বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল সবাই জানে। আন্দোলন পরবর্তী প্রেক্ষাপট কি আসলে তাই?

তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিজের সঙ্গে ট্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে সত্যিই তো ছিল না, তবে পরোক্ষভাবে বিএনপির ট্যাগ পারিবারিকভাবেই আমার ছিল এবং তখনও যারা আমাকে চিনতো সবাই জানতো আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী।

আন্দোলন ছিল সার্বজনীন, আমার ছিল সেই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং সেই প্রেক্ষিতে নিজেকে এই অবস্থানে ডিক্লেয়ার করা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে তরুণদের রাজনীতিতে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আন্দোলনে যেমন নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে তেমনিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নারী অধিকার, নারী নেতৃত্ব অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।

এবিষয়ে জানতে রাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুলকে ফোন ও টেক্সট করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

টিএইচ