কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে স্বাধীনতার পর ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি একটি পাকা রাস্তা। প্রায় ৬০ বছর ধরে কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শতাধিক পরিবার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিমুলিয়া ইউটিউব ভিলেজ সড়কসংলগ্ন মসজিদের সামনে থেকে আতাহার প্রফেসরের বাড়ি হয়ে ইষারত পরামানিকের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়, চলাচল একেবারে অচল হয়ে পড়ে।
এই রাস্তার ওপর নির্ভরশীল এলাকার মানুষদের প্রতিদিনের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই পথ দিয়েই এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যায়, মুসল্লিরা যান মসজিদে, মৃতদের নিয়ে যাওয়া হয় গোরস্থানে। গ্রামে শিশু বা প্রসূতি নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেয়াও হয়ে পড়ে দু.সাধ্য।
গ্রামবাসীরা জানান, এই রাস্তা দিয়েই খুব সহজেই হাইওয়ে সড়কে সংযোগ স্থাপন করা যায়, কিন্তু তবুও বছরের পর বছর তাদের দাবি উপেক্ষিতই থেকে গেছে। এলাকার কেউ কোনো গাড়ি বা রিকশা-ভ্যান ঠিকভাবে চালাতে পারে না, বর্ষা মৌসুমে তো হেঁটেও চলা দায়।
এ বিষয়ে অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘আমি মেম্বার হওয়ার পর থেকেই এই রাস্তা পাকাকরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো বাস্তবায়ন না হলেও রাস্তাটির আইডি খোলা হয়েছে। ইনশাল্লাহ খুব শিগগিরই পাকা রাস্তার কাজ শুরু হবে।’
খোকসা উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রধান কর্মকর্তা আসাদুল্লাহকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন জানান, ‘আমরা রাস্তাটির অবস্থা সম্পর্কে অবগত। রাস্তাটিকে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেন অবিলম্বে রাস্তাটি পাকা করার কার্যক্রম শুরু হয় এবং গ্রামবাসী দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায়।
টিএইচ