গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় একদিনেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার গাজায় চালানো বিভিন্ন হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৮ জন ছিলেন যাঁরা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) বিতরণকেন্দ্র থেকে খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধের মধ্যে বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্রে হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি অভিযানে মোট প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষ এখন খাদ্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েই গুলিতে মারা যাচ্ছে। এটি যেন এক নিত্যদিনের ভয়াবহ বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনার অংশ হিসেবে তারা ১০ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।
তবে হামাসের দাবি, যুদ্ধবির্তা আলোচনা এখনও কঠিন পর্যায়ে রয়েছে, কারণ ইসরাইল ‘একগুঁয়ে মনোভাব’ দেখাচ্ছে। এই আলোচনা কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এগিয়ে চলছে।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা তাহের আল-নুনু বলেন, আমরা সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। গণহত্যা বন্ধ, ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং আমাদের জনগণের সুরক্ষার স্বার্থে আমরা প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরাইলি বাহিনী যেসব এলাকায় অবস্থান করবে, তা এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয় এবং পরবর্তী আলোচনা সহজ হয়।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার ‘ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সপ্তাহ কিংবা আগামী সপ্তাহে চুক্তি হতে পারে, কিন্তু কিছুই নিশ্চিত নয়। যুদ্ধ ও গাজার মতো বিষয়গুলোতে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।
টিএইচ