মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

নতুন মামলায় সালমান-মামুন-জিয়াউল গ্রেপ্তার 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন মামলায় সালমান-মামুন-জিয়াউল গ্রেপ্তার 

বৈষম্য বিরোধী  ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর খিলগাঁও পল্লীমা স্কুলের সামনে আহত পরিবহণ শ্রমিক সোহেলের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন  আদালত ।

এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীকে অপহরণ ও গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।

আজ তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনজনকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে তিনজনকেই গ্রেফতার দেখান।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। নিউমার্কেট এলাকার দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে মামলায় পরের দিন ১৪ আগস্ট তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে সাবেক আইজিপি মামুনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার পরের দিন ৪ সেপ্টেম্বর তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় মোহাম্মদ ইসমামুল হক নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আদালত তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

সালমান-মামুনের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচ টায় খিলগাঁও থানাধীন শহীদ বাকি সড়ক খিলগাঁও পল্লিমা স্কুলের সামনে ছাত্র জনতার আন্দোলনে যুক্ত হন মো. সোহেল (৩৪)। তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে সরকার দলীয় সমর্থকসহ পুলিশ ছাত্র জনতার দিকে ইট পাটকেল, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছড়া গুলিসহ সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করে। ফলে মামলার বাদী পুলিশের ছড়া গুলির আঘাতে ডান হাতে কাঁধের ওপর এবং কপালের গুলি লাগে। গুরতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ছাত্র জনতা হাসপাতালে নেয়ার পর কপাল থেকে এবং কাঁধ থেকে ১টি গুলি বের করে ফেলে এবং কপালে অপর গুলিটি মাংসের ভিতরে থেকে যায়।এ ঘটনায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে খিলগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

মেজর জিয়াউলের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে পিলখানার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার কারণে সেনাবাহিনী থেকে জোর করে কর্নেল তৌহিদুল ইসলামকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এরপর ২০১৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান প্রটেকশন অফিসার হিসেবে কাজ করেন। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষী থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয় তাকে। সরতে রাজি না হওয়ায় প্রথমে তাকে গুম করা হয়। এরপর দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এসময় অন্যায়ভাবে ২৫ দিনের তাকে জেল খাটায়। এ ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীসহ ১০ জনের নামে মামলা করেন।

টিএইচ