এক দশক আগে, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে ছাদ থেকে ফেলে শিক্ষার্থী হিমাদ্রী মজুমদার হিমুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় তিন আসামির ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) ও আসামিদের আপিল-জেল আপিলের শুনানির পর বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) এ রায় দেন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জুনায়েদ রিয়াদ, জাহিদুল ইসলাম শাওন ও মাহাবুব আলী ড্যানি। সেই সঙ্গে খালাস পাওয়া দুইজন হচ্ছেন শাহাদাত হোসেন সাজু ও শাহ সেলিম ওরফে টিপু।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. হারুন অর রশীদ, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরু, মিজানুর রহমান খান, মো. আলতাফ হোসেন আমানী ও হুমায়ূন কবির। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আহসান উল্লাহ, মোহাম্মদ ইয়াছির সিকদার, মো. কামাল পারভেজ।
এর আগে, ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট হিমাদ্রি হত্যার দায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম।
২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার সামার ফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে ধরে নিয়ে একটি ভবনের চারতলায় হিমাদ্রিকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে নির্যাতনের পর, ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান তিনি। হিমাদ্রীর মামা অসিত দাস পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেলে তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
টিএইচ