খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও দুজন শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। অপসারণ ও বরখান্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ রায় দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হকের বেঞ্চ।
তিন শিক্ষক হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল (বরখাস্ত) একই বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম (অপসারিত) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী (অপসারিত)।
গত বছর ২৩ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তিন শিক্ষকের একজনকে বরখাস্ত এবং দুজনকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
পরে তিনি জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক আবুল ফজল, শাকিলা আলম ও হৈমন্তি শুক্লা কাবেরীকে ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন তিন শিক্ষক।
টানা দুই শুনানি শেষে উচ্চ আদালত শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন এবং তিন শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আদেশ দিয়েছেন।
ওই চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষকদের পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা এ রিট দায়ের করেন। ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
টিএইচ