মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Post

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে যথাযথ পদে অন্তর্ভুক্তি চেয়ে রিভিউ আবেদন করেছেন ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা। আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়। এদিন আইন কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম।

আইনজীবীরা বলেন, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে অ্যাটনি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদ অন্তর্ভুক্ত থাকলেও হয়তো ভুলক্রমে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা বাদ পড়েছেন। এ কারণে যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের অন্তর্ভুক্তি চেয়ে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর।

সেই রায়ে বলা হয়—

১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।

২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।

৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

টিএইচ