‘স্বৈরাচার’ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৮ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আজ রোববার অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে কমিশন। দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব ও তার আয়কর নথির যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে।
এদিকে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বার্জ মাউন্টেড দুর্নীতি মামলা সচলেরও উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। এ বিষয়ে আগামী ১৫ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চর্জশিট দাখিল করলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন ও জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এটি আমলে নিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
অন্যদিকে, গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে শেখ হাসিনা, সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক।
টিএইচ