শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

সালাম মুর্শেদীকে দেওয়া সস্পত্তির ব্যাখ্যা চেয়ে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সালাম মুর্শেদীকে দেওয়া সস্পত্তির ব্যাখ্যা চেয়ে হাইকোর্টের রুল

রাজধানীর গুলশানে গণপূর্তের সস্পত্তি কিভাবে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে দিলেন রাজউকের ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ওই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে এমপি সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের সদস্য সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দুদকের একটা আবেদন করি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে- নিজের বাসা মালিকানা দাবি করে তিনি এখন যে বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন, অথচ জানতে পারলাম এটা গণপূর্তের বাড়ি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তাকে এ বাড়িটি এমনভাবে দিয়েছে মনে হয়, এ বাড়ির মালিক রাজউক। অথচ রাজউকের এই ক্ষমতা নাই সালাম মুর্শেদীকে এ বাড়ি দেয়ার।

রাজউক ও সালাম মুর্শেদী এত ক্ষমতা এর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহসও করে না।  

আইনজীবী সুমন বলেন, যেহেতু কেউ কথা বলে না এজন্য আমরা দু একজন দাঁড়িয়েছি। আমার কথা হলো একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ। অথচ তিনি এত ন্যায় নীতির কথা বলেন। গণপূর্তের জায়গায় জাল জালিয়াতি করে দখল করে রেখেছেন। তারা এখন হাজার কোটি টাকার মালিক।

আইনজীবী সুমন বলেন, এ বিষয়ে দুদকে আবেদন করেছিলাম, দু মাস হয়ে গেছে অথচ এখনও আমার আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হয়নি। দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছি।

ব্যারিস্টার সুমনের আবেদনে বলা হয়, ‘সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়িটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। ওই বাড়ি সালাম মুর্শেদী দখল করে বসবাস করছেন। বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে ১৫ ও ১৬ সালে জানতে চাইলেও কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। এছাড়া ওই জমি নাম জারি ও দলিলের বিষয়ে জানতে চেয়ে চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজউকে আবারও চিঠি দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এখনো যার জবাব মেলেনি।

তাই বিষয়টি অনুসন্ধান করে আবদুস সালাম মুর্শেদী এবং রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন তিনি।

ইএফ