মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Post

ঢাকা থেকে জঙ্গিবিমান ঘাঁটি সরানোর পরিকল্পনা নেই : বিমানবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা থেকে জঙ্গিবিমান ঘাঁটি সরানোর পরিকল্পনা নেই : বিমানবাহিনী

রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকাতেই জঙ্গিবিমান ঘাঁটি রাখা অত্যাবশ্যক বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার কমোডর শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ঘাঁটি সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।’

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁওয়ের অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটির পুরাতন পিএসসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকায় জঙ্গিবিমান প্রশিক্ষণ ঘাঁটি সরানো হবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যুদ্ধবিমান পরিচালনায় বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয়।

পাশাপাশি রাজধানীর আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতেও এই ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বহু দেশের রাজধানীতেও এমন ঘাঁটি রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিমানবাহিনীর জরুরি সমন্বয়ক কেন্দ্রের এয়ার কমোডর মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকবে বিমানবাহিনী। প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ ও গভীরভাবে শোকাহত। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

দুর্ঘটনার সময় পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ ছিল কি না জানতে চাইলে মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলট তৌকিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ঘটনার দিন স্কুলে ৭৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫৩৮ জন। নিচতলার গ্রিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পুরো জায়গাটি একসময় নিচু ছিল।

পরে বালু ফেলে মাটি উঁচু করা হয়। এর আগেই ভবনের নিচতলায় গ্রিল বসানো হয়েছিল শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই।’

তিনি আরো জানান, ‘স্কুল আবার কবে খুলবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

গত ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু।

দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে ৩৪ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ২২ জন, সিএমএইচে ১১ জন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১ জন চিকিৎসাধীন।

টিএইচ