বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Post

মনে হচ্ছে সরকার হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে : রাশেদ খাঁন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মনে হচ্ছে সরকার হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে : রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, চলমান সংস্কার, খুনিদের বিচার ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ড. ইউনূসের সরকার হাসিনার পরামর্শে দেশ পরিচালনা করছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ হবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন রেস্টুরেন্টে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খাঁন বলেন, “চুনোপুটিদের নয়, খুনি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, কামাল ও শামীম ওসমানদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে হবে। এ নিয়ে জাতি কোনো টালবাহানা সহ্য করবে না। প্রয়োজনে আরও ১০টি ট্রাইব্যুনাল বসাতে হবে। টাকা না থাকলে জনগণ টাকা দেবে।”

তিনি এনসিপির সমালোচনা করে বলেন, “এই দলটি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এটা আমার কথা নয়, টিআইবির প্রধান তাদের ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এছাড়া এনসিপি সমর্থিত দুই উপদেষ্টা পদ নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। তারপরও হাসনাত আবদুল্লাহরা ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করছেন, তাদেরও ভুল ভাঙতে বসেছে।”

রাশেদ খাঁন বলেন, “যারা হাসিনার মতো স্বৈরশাসককে পরাজিত করতে পেরেছে, তারা আজ নানা কলঙ্কের তিলক মাথায় নিচ্ছেন। চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হচ্ছেন। মানুষ ও সমাজের কাছে এসব বীরেরা হেয় হচ্ছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্রদের কলঙ্কিত করলো কারা?”

তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক উপদেষ্টা দুর্নীতি করছেন। তারা আখের গোছাতে ব্যস্ত। ডিসি নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই দুর্নীতির ছোঁয়া লেগে আছে। ১৬ বছর বিএনপি-জামায়াতের তকমা লাগানো আমলারা এখনো নির্যাতিত ও পদবঞ্চিত হচ্ছে।”

জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাশেদ বলেন, “যে সরকার শহীদদের তালিকা তৈরি করতে পারে না, তাদের কাছ থেকে জাতি কী আশা করতে পারে? জাতিসংঘের তদন্তে নিহতের সংখ্যা ১৪০০, কিন্তু জুলাই সনদে সংখ্যা এক হাজার করা হলো। এটা কেন এবং কীভাবে হলো?”

গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে মাঠে থেকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মাঠে না থাকলে আওয়ামী লীগ মাঠ দখল করে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। ইতোমধ্যে তারা এমন ষড়যন্ত্র করে বসে আছে। তাই সবাই কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি নানা ছুতোয় নির্বাচন করতে চাইবে। তাদেরকেও প্রতিহত করতে হবে। কারণ তারা হাসিনার উচ্ছিষ্টভোগী। ডামি, মামি বা যে কোনো নামে তাদের নির্বাচন করার সুযোগ নেই।”

তিনি ১৪, ১৯ ও ২৪ সালে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ডিসি, এসপি ও ইউএনওদের বিচার দাবি করেন।

ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকারের সভাপতি রাকিবুল হাসান রকিব, যুবনেতা মো. মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লা আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান হোসেন রিহান, মো. মাহাফুজ রহমান, মো. হালিম পারভেজ ও মো. নাহিদ হাসনান প্রমুখ।

টিএইচ