রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা।
এই তিনজনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।
শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কার আদেশের বিষয়ে জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন ও সাদাব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
সেখানে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।
জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে গুলশানের ওই বাসা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেন গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
আটক বাকি দুজন হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সংগঠক ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ এবং আমিনুল ইসলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই পাঁচ যুবক। তিনি পলাতক থাকায় তার স্বামীর কাছে এ চাঁদা দাবি করা হয়। কয়েকদিন আগে তারা ওই বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা আবার সেখানে যান স্বর্ণালংকার আনতে। তখন বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রিয়াদসহ সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করছি। আটক সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
টিএইচ