যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জনের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মর্তুজাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর দুই দেশের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) যৌথ বিবৃতি অবশ্যই আসবে। তখন সব বিষয় প্রকাশ করা হবে।"
তিনি জানান, চুক্তির কিছু বিষয় আগেভাগেই প্রচার হওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে এতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো বিষয় নেই।
চুক্তিকে ঘিরে গোপনীয়তার প্রশ্নে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে কিছু বিষয় নির্দিষ্টভাবে গোপন রাখার বাধ্যবাধকতা থাকে। এটি উভয় পক্ষের স্বার্থেই করা হয়, যেন তৃতীয় কোনো দেশ হস্তক্ষেপ না করতে পারে। এমনকি দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও চুক্তির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় গোপন থাকে।"
তিনি বলেন, "নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) একটি স্বাভাবিক বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তাকে চুক্তির কেন্দ্রে রেখেছে। ফলে কিছু বিষয় আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে এতে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আমাদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে চুক্তি করার প্রশ্নই আসে না।"
শেখ বশিরউদ্দিন আরও বলেন, "চুক্তিতে এমন কোনো বিষয় নেই যা আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতার বাইরে। আর কোনো বিষয় যদি বাংলাদেশের জন্য পরোক্ষভাবে ক্ষতিকর হতো, সেটি আলোচনার মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়েছে।"
তিনি বলেন, "আমরা বেসরকারি খাতকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কেনার বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত আগ্রহ ছিল না। এসব সরবরাহে তাদের সময়ও লাগবে।"
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, "যুক্তরাষ্ট্র আমাদের যে ২০ শতাংশ শুল্ক দিয়েছে, তার সফলতা নির্ভর করবে আমাদের বাণিজ্যিক সক্ষমতার ওপর। আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।"
টিএইচ