মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Post

কয়রায় দুই ইউনিয়নের মধ্যে যাতায়াতের রাস্তাটির বেহাল দশা 

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

কয়রায় দুই ইউনিয়নের মধ্যে যাতায়াতের রাস্তাটির বেহাল দশা 

খুলনার কয়রায় উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে মানুষ ও যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কাটকাটা থেকে গাববুনি, হরিহরপুর, ফুলতলা, ঘড়িলাল হয়ে গোলখালি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ইটের সোলিং রাস্তার কোথাও ভালো নেই। রাস্তার ওপর ইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা, ছোটবড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় দৈনন্দিন লোকজনের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। 

প্রতিদিন শত শত মোটরসাইকেলে মানুষের হেলেদুলে ঝাঁকুনি খেয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। ভ্যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও ব্যবসায়ীরা মালামাল পরিবহনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শাকবাড়িয়া নদীর কিনারে গাববুনি রাস্তা বারংবার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেখানে টেকসই রাস্তা নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জরাজীর্ণ, ভঙ্গুর এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ বেদকাশি ও উত্তর বেদকাশির বিপুল সংখ্যক মানুষ মাছসহ অন্য মালামাল পরিবহন করতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 

এতে করে দুর্ঘটনার শিকারে পরিণত হয়ে অনেকের হাত পা ভেঙে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। দক্ষিণ বেদকাশির গোলখালিতে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে কিন্তু কাটকাটা থেকে গোলখালি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সেখানে যাওয়া আসা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এছাড়া আংটিহারা কোস্টগার্ড ষ্টেশন, কোবাদক ফরেস্ট অফিস, আংটিহারা কাস্টমস, পুলিশ ক্যাম্পসহ অন্য সরকারি অফিস ও স্টেশনে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এলাকার লোকজন স্থানীয় এমপি ও দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমালোচনা করছেন। উত্তর বেদকাশির শাকবাড়িয়া গ্রামের সমাজ সেবক খগেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, যুগ পেরিয়ে গেছে কিন্তু আমাদের রাস্তাটি মেরামত হয়না। 

এ ব্যাপারে দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান মোড়ল আছের আলী বলেন, কাটকাটা গোলখালি রাস্তার শেষ অংশটি আমার ইউনিয়নে মধ্যে। চরামুখা, ঘড়িলাল ও গোলখালির রাস্তার কিছু অংশ চলাচলের উপযোগি, তবে উত্তর বেদকাশির গাববুনি, শাকবাড়িয়া, হরিহরপুর, ফুলতলার রাস্তার অবস্থা নাজুক। উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, শাকবাড়িয়া নদীর কিনার দিয়ে চলাচলের রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তবে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় হরিহরপুর, ফুলতলার রাস্তা সংস্কার করা এখুনি সম্ভব হচ্ছে না।       

টিএইচ