মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Post

গোমস্তাপুরে মতিন তেলি হত্যার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

গোমস্তাপুরে মতিন তেলি হত্যার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের হরিনগর (কালিতলা) গ্রামে মতিন তেলি হত্যায় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হরিনগর তেলিপাড়া গ্রামের মো. আরশাদ ওরফে আশা বইরার ছেলে মো. শুকুরুদ্দিন, তার স্ত্রী মোসা. পিয়ারা বেগম ও তার ছেলে মো. পিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়ারুল। গত ৯মে তাদের মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে স্বামী শুকুরুদ্দিন ও তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার (১২ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মতিন তেলি তেল বিক্রয়ের পাশাপাশি কবিরাজি করতো। পিয়ারা বগমের পেটের ব্যথা হলে তা ডাক্তারি চিকিৎসায় সুস্থ না হলে মতিন তেলির কবিরাজিতে সুস্থ হয়। এরপর হতে শুকুরুদ্দিনের পরিবারের বিভিন্ন অসুখ বিসুখ ছাড়াও কারণে অকারণে মতিন তেলির আসা যাওয়া ছিলো। এ সুযোগে মতিন তেলি পিয়ারা বেগমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

একপর্যায়ে পিয়ারা বেগম এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু মতিন তেলির কারণে তা সম্ভব হয়নি। ঘটনার দিন গত ২ মার্চ পিয়ারা বেগম আবার পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে মতিন তেলিকে চিকিৎসার জন্য ডাকা হয়। কবিরাজি চিকিৎসার জন্য মিষ্টি লাগবে বলে পিয়ারা বেগমের স্বামী শুকুরুদ্দিনকে স্থানীয় বাবু বাজারে মিষ্টি কিনতে পাঠানো হয়। এসময় শুকুরুদ্দিনের ছেলে পিয়ারুল বাড়িতে না থাকায় মতিন তেলি সুযোগ বুঝে পিয়ারা বেগমের সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পিয়ারা বেগম মতিন তেলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এমন সময় শুকুরুদ্দিন মিষ্টি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সে নিজেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মতিন তেলিকে কোপাতে থাকে একপর্যায়ে মতিন তেলি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে গেলে তাদের ছেলে পিয়ারুলকে মোবাইলে ডেকে এনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ঘটনাস্থল পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় শুকুরুদ্দিন ও তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম ও ছেলে পিয়ারুলের নাম উল্লেখ করে  অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে গোমস্তাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত মতিন তেলির স্ত্রী। গত ৩ মার্চ মামলাটি করা হয়।

মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. শাহিন আকন্দর সার্বিক তত্বাবধানে এসআই (নিরস্ত্র) মো. সাজজাদ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি চৌকস টিম জোর তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু আসামিরা তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখায় তাদের গ্রেপ্তারে কিছুটা সময় ক্ষেপন হলেও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯মে ঢাকার মানিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

টিএইচ