মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২
The Daily Post

চন্দনাইশে পাহাড়ের পাদদেশে লিচুর বাম্পার ফলন 

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চন্দনাইশে পাহাড়ের পাদদেশে লিচুর বাম্পার ফলন 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দুইটি পৌরসভার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পূর্ব পাহাড়ের পাদদেশে ধোপাছড়ি, চিড়িংঘাটা, হাশিমপুর, জামিরজুরী, হাফছড়িকুল, হাতিয়াখোলা, লালুটিয়া, কাজী ফার্ম ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার বাজালিয়া, পুরানগড়, শিলঘাটায় গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে খ্যাত লিচু অন্য বছরের তুলনায় এবছর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাল দাম পেয়ে খুশি এখানকার শত শত লিচু চাষিরা। 

পাশাপাশি আম কাঁঠাল, আনারস, বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে মৌসুমী ফলের সমারোহে চাষী, ব্যবসায়ী, ফঁড়িয়া ও আড়তদারদের মধ্যে ক্রয় বিক্রয়ে যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। 
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চন্দনাইশ পূর্ব পাহাড়ে লিচু বাগানের মালিকদের কাছ থেকে ব্যবসায়ী ফঁড়িয়া আড়তদাররা বাগান থেকে লিচু ক্রয় করতে দেখা যায়। এসব লিচু বিভিন্ন জায়গায় হাত বদল হয়ে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যায়। 

চন্দনাইশের আরকান সড়ক সংলগ্ন দোহাজারী হাজারী বাজার, রেলওয়ে স্টেশন, ধোপাছড়ি বাজার, হাশিমপুর বাদামতল, গাছবাড়ীয়া খানহাট, কাঞ্চনাবাদ, চন্দনাইশ উপজেলা সদর বাজার, বরকল, বরমার বেশির ভাগ লিচু বিক্রী হতে দেখা যায়। এছাড়া কেরানীহাট, বাজালিয়া, পুরানগড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিকিকিনি চলে। 

বর্তমানে বাজারে প্রতি শত লিচু বিক্রী হয় ১৩০ টাকা থেকে শুরু করে রসালো ও ভালো মানেরগুলো ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে। বেশিরভাগ বাজারে লিচু কদর রয়েছে বাঁশখালী কালিপুর, রাজশাহী ও দিনাজপুরের স্বাদযুক্ত লিচু। দোহাজারী কাজী ফার্মের লিচু বর্গাচাষা জহির ও মো. জয়নালের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্পূর্ণ ফরমালিন ছাড়া সরাসরি আমরা লিচু বাগান থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে ১০০০ লিচু ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রী করি। এখান থেকে এরা নিয়ে গিয়ে প্রতি শতে পঞ্চাশ টাকা করে লাভ করে।
 
দোহাজারী হাজারী বাজারে লিচু কিনতে আসা শাপলা নামের এক মহিলা বলেন, বাঁশখালী ও কালীপুরের মতো মিষ্টি এখানকার উৎপাদিত লিচু। এখানকার লিচু বীজ বড় হলেও কালিপুরের লিচুর বীজ ছোট তাই খেতে স্বাদ ও সুগন্ধীযুক্ত। 

চন্দনাইশের হাশিপুরের লিচু ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, প্রতি বছর গাছের মুকুল আসার আগেই ব্যবসায়ী ও ব্যাপারীরা অনেক লিচু বাগান কিনে নেন। পাইকাররা এখান থেকে লিচু কিনে চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকার হাটে বাজারে বিক্রী করে থাকে। 

এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলার কৃষি অফিসার স্মৃতি রানী জানান, দুই উপজেলার পাহাড়ের ১০০০ একর জায়গায় লিচু বাগান রয়েছে। লিচুর মুকুল আসাতে বৃষ্টি হলে ফলন আরো ভালো হতো। আগামীতে লিচু চাষ বৃদ্ধি পায় সেজন্য মাঠ কর্মীরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। দুই উপজেলার সর্বত্রে দেড় শতাধিক লিচুর বাগান রয়েছে। 

টিএইচ